রাশিয়ার মিত্র সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মঙ্গলবারে এ আলাপচারিতার সময় দুনেতা সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি ও গৃহযুদ্ধ শরণার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ এলাকা গড়ে তোলার বিষয়ে সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নাজুক হয়ে পড়েছিল। ওই ঘটনার পর এই প্রথম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুই দেশের নেতা পরস্পরের সঙ্গে কথা বললেন। এর মাধ্যমে জুলাইয়ে তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের ভিত্তি স্থাপন করলেন ট্রাম্প ও পুতিন।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিন থেকে দেওয়া বিবৃতি থেকে দুই নেতার মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। তাদের আলাপচারিতায় উত্তর কোরিয়া থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়গুলোও ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুতিনের অনুরোধে টেলিফোন আলাপের এ ব্যবস্থা করা হয় এবং এ আলাপকে সিরিয়া বিষয়ে তার ধারণা উপস্থাপন করার উদ্যোগ হিসেবে বর্ণণা করেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘সিরিয়ার সহিংসতার ইতি ঘটাতে সব পক্ষ যা করতে পারে তাদের তা অবশ্যই করতে হবে’ বলে দুনেতা একমত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে দুনেতার এই আলাপচারিতাকে ‘খুব ভাল’ বলে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউস। অপরদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, সিরিয়ায় একটি যুদ্ধবিরতি করে সেটিকে শক্তিশালী করার পথ খোঁজা ও সেটিকে স্থায়িত্ব দেয়া নিয়ে মতবিনিময়ের বিষয়ে একমত হয়েছেন পুতিন ও ট্রাম্প। দুই নেতার টেলিফোন আলাপচারিতাকে এগিয়ে নিতে কাজাখস্তানের রাজধানী আসতানায় সিরিয়ার যুদ্ধবিরতি নিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবারের আলোচনায় ওয়াশিংটন একজন প্রতিনিধি পাঠাবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এর আগে আসতানার এ আলোচনায় কাজাখস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধিত্ব করলেও এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিকট প্রাচ্য বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টুয়ার্ট জোন্স প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।