হামজা বেনডেল্লাজ SpyEye কম্পিউটার ভাইরাস ব্যবহার করে অমেরিকান ব্যাংক হতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার হ্যাক করে এবং ব্যাংক হতে হ্যাককৃত সব অর্থ তিনি অসহায় দরিদ্র ফিলিস্তিনদের বিলিয়ে দেন। এজন্য তিনি হ্যাকিং জগতের রবিনহুড নামে পরিচিত। এখন এটা আপনার চিন্তা ভাবনার উপর নির্ভর করে যে, হামজা বেনডেল্লাজ কি আপনার কাছে রবিন হুড নাকি একজন সাইবার অপরাধী?
২৭ বছর বয়সী আলজেরিয়ার কম্পিউটার বিজ্ঞানে এ স্নাতকের বিরুদ্ধে ২১৭ টির বেশী আমেরিকান ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা চুরি করার অভিযোগ আনা হয়। ব্যাংক জালিয়াতি, এবং অন্যান্য অভিযোগের জন্য তিনি ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং এবং ২৪ মিলিয়ন ডলার জরিমানার সম্মুখীন হন।
হামজা ২১৭ টি ব্যাংক হ্যাক করেন। তাঁর হ্যাক কৃত অর্থের পরিমাণ টাকার অংকে হিসাব করলে ১০০ মিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। তিনি আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে অনাহারে অর্ধাহারে মরে যাওয়ার উপক্রম মানুষদের মাঝে সেই টাকা বিলিয়ে দেন!
থাইল্যান্ডে একটি এয়ারপোর্ট হতে গ্রেফতারকৃত হ্যাকার হামজা এখন মার্কিন প্রশাসনের কাছে বন্দি আছেন।
আদালতে তার বক্তব্য ছিল, আমি কোন পাপ করি নি, গরিবের পেট চাঁপা দিয়ে সমাজের দুর্নীতিবাজরা যে পয়সা ব্যাংকে জমা রেখেছিল আমি তা গরিবের পেটেই পৌঁছালাম।
আলজেরিয়ান এ হ্যাকার হাসিমুখে বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং মোটেও অনুতপ্ত ছিলেন না।
হামজার আইনজীবী আটলান্টা জে এল স্ট্রংওয়াটার এক সাক্ষাৎকারে আল জাজিরাকে বলেন যে তার ক্লায়েন্ট তার এ কর্মের জন্য যেকোনো শাস্তি গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।
১৩ নভেম্বর, ২০১৭।