প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হারার পর মার্কিন প্রশাসনে কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শীর্ষ এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার পর অন্যান্য শীর্ষ কর্তারা পদত্যাগ করতে শুরু করছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের নীতিবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জেমস অ্যান্ডারসন পদত্যাগ করেছেন। তবে অ্যান্ডারসন নিজ থেকেই পদত্যাগ করেছেন নাকি তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। খবর: সিএনএন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে মার্ক এসপারকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরখাস্ত করার পরদিনই অ্যান্ডারসন পদত্যাগ করলেন। একইদিনে দেশটির বিচার বিভাগের নির্বাচন-সংক্রান্ত অপরাধবিষয়ক শীর্ষ আইনজীবী রিচার্ড পিলগারও পদত্যাগ করেছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কথিত ভোট জালিয়াতি তদন্তের আদেশ দিলে প্রতিবাদে পিলগার পদত্যাগ করেন।
প্রতিরক্ষা দপ্তরের পলিসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অ্যান্ডারসন। তিনি জন রডের স্থলে এই দায়িত্বে ছিলেন। জন রডকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বিস্তর মতপার্থক্যের জেরে তিনি বরখাস্ত হন।
২০১৮ সাল থেকে পেন্টাগনে ছিলেন অ্যান্ডারসন। তিনি শুরু করেছিলেন স্ট্যাট্রেজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে। পরে পলিসি বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি হন। রড বরখাস্ত হলে সেই দায়িত্ব এসে পড়ে অ্যান্ডারসনের ওপর।
গত সোমবার টুইট করে এসপারকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের প্রধান ক্রিস্টোফার মিলার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প ও এসপারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। এই বিরোধের জেরেই এসপার বরখাস্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে ডেমোক্র্যাট শিবির। এসপারের আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন জেমস ম্যাটিস। সিরিয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধের জেরে তিনি ২০১৮ সালে পদত্যাগ করেন।