সেনাবিরোধী বিক্ষোভে মিয়ানমারে শনিবার আরও পাঁচজন মারা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অন্যদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ব্রিটেন সরকার তার নাগরিকদের দেশটি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নাগরিকেরা পারলে মিয়ানমার থেকে বেরিয়ে আসুন। দেশটিতে সংঘর্ষ অঞ্চল থেকে অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।’
শনিবার সকালে ইনসেইন রেলওয়ে প্রাঙ্গণ ঘিরে রাখতে দেখা যায় সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের। যাকে বিক্ষোভকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অবরোধ’ বলে উল্লেখ করে।
একটি ভিডিও পোস্টে দেখা যায়, অনেক আহত বিক্ষোভকারীকে সাহায্য করছেন তাদের সতীর্থরা।
আরেকটি ভিডিওতে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক বালককে পিটুনি দিতে দেখা যায় অন্য ফুটেজে।
এর আগে ঐতিহাসিক ১৩ মার্চ ঘিরে বড়সড় বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় মিয়ানমারে। ১৯৮৮ সালে নিহত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ওই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে তৎকালীন মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্র হয় এবং গণতন্ত্রের আইকন হিসেবে অং সান সু চি’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।
১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর শুরু হয় দমন-নিপীড়ন। এখন পর্যন্ত সেখানে ৭০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।