জার্মানির বেতার ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ চালু হয় ১৯৭৫ সালে৷
ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ চালু হয় ১৯৭৫ সালে৷ সেসময় শর্ট ওয়েভে ডয়চে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল৷ ২০১০ সাল থেকে দিনে দু’টি করে অনুষ্ঠান প্রচার শুরু কার হয় এফএম ব্যান্ডে, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে সহযোগিতায়৷ এই সহযোগিতা চলে ২০১৩ সালের ৮ই মার্চ অবধি৷
বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটে (www.dw.com/bengali এবং m.dw.com/bengali) রাজনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ, নারী অধিকার, সমাজ, অর্থনীতি, খেলাধুলা, উচ্চশিক্ষা ও লাইফস্টাইল সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য প্রকাশ করা হয়৷
ডিডাব্লিউ-এর সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ড ‘দ্য বব্স’-এর বিভিন্ন ভাষা বিভাগের মধ্যে বাংলাও রয়েছে৷ ইতোমধ্যে বাংলা ব্লগাররা এই প্রতিযোগিতায় বিশেষ সাড়া জাগিয়েছে৷
২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ডয়চে ভেলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান অন্বেষণ বাংলা ভাষাতেও প্রচার শুরু হয়েছে৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বাংলাদেশে আরটিভি ও ভারতে ডিডি বাংলায় নিয়মিত প্রচার হচ্ছে এই অনুষ্ঠান৷
বাংলা বিভাগ
যারা প্রতিদিন আপনাদের সামনে তুলে ধরে নিত্যদিনের খবর, ঘটনা৷ তৈরি করে প্রতিবেদন, নানা বিষয় ও মেজাজের পটভূমি ভিত্তিক ফিচার৷ টেলিভিশন অনুষ্ঠান, ওয়েবসাইট, ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব চ্যানেলের মধ্য দিয়ে আপনাদের সঙ্গে এক অচ্ছেদ্য সংযোগ গড়ে তুলতে যারা সদা সচেষ্ট তারা হলেন
দেবারতি গুহ
দেবারতি গুহ বাংলা বিভাগের প্রধান৷ কলকাতা-ঢাকায় শৈশব-কৈশোর কাটানোর পর তিনি নতুন দিল্লির জওয়াহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন৷ পরে জার্মান দৈনিক, ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং-এর সঙ্গে কর্মরত থাকেন৷ ডিডাব্লিউ-তে বেতার, অনলাইন ও টেলিভিশন সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ নেন দেবারতি৷ ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সমন্বয়কারী সম্পাদক ছিলেন৷
সঞ্জীব বর্মন
সঞ্জীব বর্মন ডয়চে ভেলেতে যোগদান করেন ১৯৯৯ সালে৷ এর আগে তিনি কলকাতার গ্যোটে ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষায় শিক্ষকতা করেছেন এবং কলকাতার জার্মান কনস্যুলেটের প্রেস ও জনসংযোগ অফিসার হয়ে কাজ করেছেন৷ ভারত ও জার্মানির মধ্যে পারস্পরিক মৈত্রীসুলভ সম্পর্ক গড়ে তোলাও তাঁর কর্তব্যের মধ্যে পড়ত৷
আশীষ চক্রবর্তী
আশীষ চক্রবর্তী বাংলাদেশের একাধিক মুখ্য দৈনিকে কাজ করেছেন: যেমন প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ ও যায় যায় দিন৷ পরে তিনি বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমেও ছিলেন৷ স্নাতকোত্তর পর্যায় অবধি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র৷ পেশাগত জীবন শুরু করেন শিক্ষক হিসেবে, পরে ধারা বদলে হন সাংবাদিক৷ অপরদিকে গায়ক হিসেবে জলসা করেছেন এবং মঞ্চে অভিনয় করেছেন৷ সংগীত আজও তাঁর জীবনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে৷
অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
আদতে ইংরিজি সাহিত্যের ছাত্র অরুণ শঙ্কর চৌধুরী ভারতের একটি মুখ্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও ভারত সরকারের দু’টি উচ্চপর্যায়ের চাকুরি ছাড়ার পর জার্মানিতে আসেন এবং ডয়চে ভেলের হয়ে কাজ শুরু করেন৷ সে ৩০ বছর আগের ঘটনা৷ পড়া, লেখা এবং পোষ্য সারমেয়টিকে নিয়ে হাঁটতে যাওয়া আজও তার নেশা, যেমন এক হারিয়ে যাওয়া দেশের স্মৃতি আজও তাঁকে আকুল করে৷
জাহিদুল হক
জাহিদুল হক ২০১০ সাল থেকে ডয়চে ভেলের হয়ে কাজ করছেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক জাহিদ ২০০১ সালে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ তখন তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরিজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর বিজনেস রিপোর্টার৷ জার্মানিতে আসা পর্যন্ত তিনি পত্রিকাটির সাব এডিটর হিসেবে কাজ করছিলেন৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বাধুনিক চমক হল জাহিদের নেশা৷
আরাফাতুল ইসলাম
আরাফাতুল ইসলাম তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু করেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার তথ্য প্রযুক্তি প্রতিবেদক হিসেবে৷ পরবর্তীতে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক ২০০০-এর হয়ে কাজ করেছেন৷ ২০০৭ সালে তিনি ‘অফ দ্য রাডার’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন৷ ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইটের বিকাশে আরাফাতের বিশেষ অবদান আছে৷ তাঁর অবসর সময় কাটে ব্লগ লিখে৷ এবং আরো অনেক ব্লগারের মতো তিনিও বেড়াতে ভালোবাসেন৷
নুরুননাহার সাত্তার
বিগত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নুরুননাহার সাত্তার বাংলা বিভাগের চিঠিপত্র বিভাগের দেখাশোনা করছেন এবং আজ facebook.com/dw.bengali-র দেখাশোনা করতে তাঁর ঠিক ততটাই ভালো লাগছে৷
অমৃতা পারভেজ
অমৃতা পারভেজ বাংলা বিভাগের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ক অনুষ্ঠান অন্বেষণের সঞ্চালক এবং সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন৷ দিনাজপুরে শৈশব-কৈশোর কাটানোর পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন৷ পরে বাংলাভিশন এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে সংবাদ পাঠিকা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ পাশাপাশি ভ্রমণ বিষয়ক লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি৷
তথ্য সুত্রঃ ডয়েচ ভেল