২০১৮ সালে জাপানের কৃষি, বন ও মাছ রফতানি আগের বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এ নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির এ খাতে রফতানি বেড়েছে। খবর জাপান টুডে।
প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত উপাত্তে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে জাপানের কৃষি, বন ও মাছ খাতের রফতানি ৯০ হাজার ৬৮০ কোটি ইয়েনে (৮৩০ কোটি ডলার) দাঁড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৯ সালে এ খাতে ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন রফতানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে দেশটি।
ওয়াশোকু নামে একটি জাপানি খাবারের বৈশ্বিক জনপ্রিয়তা এবং জাপানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ ও অঞ্চলের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে ওই খাতের রফতানি বৃদ্ধি পাবে।
জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকামরি ইয়োশিকাওয়া শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের ১ ট্রিলিয়ন ইয়েনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ১০ শতাংশের মতো বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
দেশ ও অঞ্চল হিসেবে জাপানের কৃষিপণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হংকং, যেখানে ২১ হাজার ১৫০ কোটি ইয়েনের পণ্য বিক্রি হয়েছে। আগের বছরের তৃতীয় অবস্থান থেকে এগিয়ে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় অবস্থানে পৌঁছেছে চীন, যেখানে ১৩ হাজার ৩৮০ কোটি ইয়েনের কৃষিপণ্য রফতানি করেছে জাপান। এদিকে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয়তে নেমে গেছে। দেশটিতে জাপানের ১১ হাজার ৭৭০ কোটি ইয়েন কৃষিপণ্য রফতানি হয়েছে।
প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারসহ কৃষিপণ্য রফতানি আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেড়ে ৫৬ হাজার ৬১০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মাছ জাত পণ্য রফতানি ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে ৩০ হাজার ৩১০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বনজ পণ্য রফতানি ৬ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৭৬০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে।
নাইজেরিয়া, মিসরের মতো আফ্রিকার দেশগুলোয় চাহিদা বৃদ্ধির ওপর ভর করে ম্যাকারেল রফতানি ২২ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৬৬০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মাংস রফতানি ২৯ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৪৭০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে।
গত বছরে কিছু ফলের রফতানি বেড়েছে। উচ্চ ফলনের ওপর দাঁড়িয়ে আপেল রফতানি ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৯০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে স্ট্রবেরি রফতানি ৪০ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫০ কোটি ইয়েন।
কাঁচা ডিম খাওয়ার জাপানি সংস্কৃতি অন্যান্য দেশেও সম্প্রসারিত হওয়ায় ডিম রফতানি ৪৯ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১৫০ কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে।