হাসিনা বেগম
নানা আয়োজনে জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ ১৭ মার্চ রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়েছে ।
দিবসটি উপলক্ষে দুতাবাস এক কর্মসূচি গ্রহন করে । কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, শিশুকিশোরদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি তেমন সাজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তুষিতা চাকমা’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
এরপর রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা শিশু কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর সারিবদ্ধভাবে একে একে সকলে শ্রদ্ধা জানান ।
শ্রদ্ধা জানানো পর্ব শেষ হলে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও দশের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
এরপর দুতাবাস কর্মকর্তাগন দিবসটির তাৎপর্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বানী সমূহ পাঠ করে শোনান।
এছাড়াও দিবসটির তাৎপর্যে বক্তব্য রাখেন জাপান আওয়ামীলীগের সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ, সাধারন সম্পাদক খন্দকার আসলাম হিরা, কাওসার আহমেদ লাইজু , মীর হোসেন মিলন প্রমুখ।
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তশালী করার আহবান জানান।
শিশুদের কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয় যথাক্রমে নওসিন রহমান এবং দ্যুতি অনন্যা ।
শিশুদের যেমন খুশী সাজো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয় যথাক্রমে আজরিন কারিমা নাবা ও ইয়ানা জাহির ইয়ুকি ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে স্বরলিপি কালচারাল একাডেমী টোকিও। স্বরলিপির একঝাক শিশুকিশোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ।
টোকিও ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে আগত প্রবাসী ও তাঁদের সন্তানদের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় মুখোর ও প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছিলো দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন। জাপানে বসবাসরত শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজনটি- ‘প্রাণের মেলা’ হয়ে উঠেছিল। সেখানে গভীর শ্রদ্ধা ও পরম মমতায় তাঁরা স্মরণ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে, শিক্ষা নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সম্পর্কে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশুকিশোরদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী পালনের কেক কাটেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা চ্যাম্পিয়ন , রানার আপ সহ অংশগ্রহনকারী সকলকে উৎসাহ পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়াও র্যাফেল ড্র’র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সবশেষে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ।