যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে পাঁচটি মসজিদে হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বার্মিংহাম কাউন্সিল অব মসজিদ এক বিবৃতিতে জানায়, গভীর রাতে মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের এই ঘটনায় আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এতে মসজিদে নিরাপত্তা বাড়ানোরও দাবি জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, কে বা কারা গভীর রাতে মসজিদে হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালায়। তবে, মসজিদের দরজা-জানালা সব ভেঙে ফেললেও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজ্ঞাতদের এ হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে, এ ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তারা শুক্রবার জুমার নামাজে নিরাপত্তা আরও জোরদারের আবেদন করেছেন।
এদিকে, দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ বলছে, রাতে মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের এসব ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে হামলার কারণ জানা যায়নি। আটকও হননি কেউ। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
আলবার্টা রোডের মসজিদ, ব্রার্চফিল্ড রোডের মসজিদ, উইটন, অ্যাস্টন ও পেরিবারের মসজিদগুলোতে একই কায়দায় হামলা চালানো হয়। হাতুড়ি নিয়ে ভাঙচুর চালানোর দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। ডেইলি মেইল সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সনের খবরে বলা হয়েছে, বার্মিংহামের ইসলামিক সেন্টারের মসজিদের ৭টি জানালা ও দুটি দরজা ভেঙে ফেলেছে হামলাকারীরা। মসজিদটির ইমাম জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয়রা মুসলিম নেতারা।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে ৫০ জন নিহতের ঘটনার কয়েক দিন পর বার্মিংহামের মসজিদে এই ভাঙচুর ঘটলো। উইটন ইসলামিক সেন্টারের মুখপাত্র জাভিদ ইকবাল জানান, নিউজিল্যান্ডের ওই ঘটনার পর এ ধরনের হামলা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মধ্যরাতে এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারীর শিকার হয়েছি। সে হাতুড়ি নিয়ে এসে মসজিদের জানালায় ভাঙচুর চালায়। হামলার পর সে আবারো নতুন একটি বড় হাতুড়ি নিয়ে এসেছিল। পুনরায় সে দরজা-জানালা ভাঙতে শুরু করে। পাঁচ বা ছয়টি জানালা ভেঙেছে ওই হামলাকারী।