টাইফুনের আঘাতে জাপানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন মারা গেছেন। গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন।
রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে আঘাত হানা এই টাইফুনে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন।
শক্তিশালী এই ঝড়ের প্রভাবে জাপানের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১শ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়োদো নিউজ।
মধ্য জাপানে আঘাত হানার পর টাইফুন ‘হাগিবিস’ কিছুটা দুর্বল হয়ে গেলেও প্রলয়ংকরী রূপ ধারণ করে। এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা তৃতীয় ক্যাটাগরির আটলান্টিক হারিকেন পর্যায়ের।
জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধস আঘাত হেনেছে। সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। দেশজুড়ে ২৭ হাজার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাজধানী টোকিওসহ টাইফুন আক্রান্ত এলাকা থেকে এক লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। টাইফুনের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতে থমকে গেছে ব্যস্ততম টোকিও।
রবিবার সকাল পর্যন্ত টোকিও ও এর আশপাশের বিমানবন্দরগুলোতে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। টোকিও, নাগোয়া ও ওসাকার সব বুলেট ট্রেনের সূচি বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে কম গতিসম্পন্ন রেলের বেশিরভাগ সূচিও।
ক্যান্টো, চিবা ও টোকিওর দশ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎশূন্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, টোকিও উপসাগরে পানামার একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এতে ১২ ক্রু সদস্য ডুবে মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের, সাতজন চীনের এবং দু‘জন ভিয়েতনামের নাগরিক।
অপরদিকে স্থানীয় সময় রোববার সকালে অপর একটি জাহাজের চার ক্রু সদস্যকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।