চীনের হুবেই প্রদেশে সোমবার করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ ১০৩ জন মারা গেছেন। এই নিয়ে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ালো।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মৃতের সংখ্যা বাড়লেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ২০ ভাগ কম।
হুবেইয়ের হেলথ কমিশন জানায়, সোমবার এই প্রদেশে নতুন করে ২ হাজার ৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬১৮।
এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দক্ষ মেডিকেল দল চীনে পৌঁছেছে।
বর্তমানে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ২০০, যা ২০০২-০৩ সালের সার্স প্রাদুর্ভাবকে ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং করোনাভাইরাসের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। এই সময় তিনি মাস্ক পরে ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও উদ্যম নিয়ে কাজ করার কথা বলেন জিনপিং। বলেন, “আমাদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে, শেষ পর্যন্ত মহামারিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিতবো।”
হেলথ কমিশন জানায়, হুবেই প্রদেশেই সোমবার পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৭৪ জন, চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ৩১ হাজার ৭২৮ জন। এখানে মৃত্যুর হার ৩ ভাগ। অন্যদিকে সারা চীনজুড়ে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১১ জন।
করোনাভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ। এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এবং ভ্যাকসিন নেই। মৃতদের অধিকাংশই বয়স্ক যাদের আগে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা ছিল।
সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া এই রোগের লক্ষণ হলো- শুকনো কাশির পর জ্বর আসে। সপ্তাহখানেক পর শ্বাস-প্রশ্বাস কমে যায়। এরপর আক্রান্তদের মধ্যে কিছু লোককে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রতি চারজনের একজনের অবস্থা খুবই খারাপ হয়।