ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪০১ ধারার উপধারা-১ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছে সরকার। তবে এই ছয় মাস তাকে নিজের বাসায় থাকতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এক ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার ৪০১ ধারায় তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে, তিনি এই সময়ে বিদেশে যেতে পারবেন না এবং তাকে নিজ বাসায় থাকতে হবে।
আইনমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে জানান, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এবং আমার কাছেও আবেদন করা হয়েছিল তাকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়ার জন্য। আবেদনে তাকে লন্ডনে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কেন্দার, বোন সেলিমা ইসলাম ও বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও একই আবেদনের কথা বলেছিলেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া ও এই সময়ে দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে আমি মতামত দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে মুক্তির সিদ্ধান্তটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি।
ছয় মাসের মধ্যে প্রয়োজন হলে খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে নিশ্চয় যেতে পারবেন। কিন্তু হাসপাতালে যদি ভর্তিই হতে হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে মানস্মত হাসপাতালে তো তিনি ভর্তি আছেনই। সেখানেই তো তার চিকিৎসা চলছে।