যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত পনেরো জন পুলিশ সদস্য আহত ও ৪৫ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পার্শ্ববর্তী পোর্টল্যান্ড শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর ফেডারেল এজেন্টদের চালানো দমন-পীড়নের ঘটনায় নতুন করে ফুঁসে উঠেছিলেন সিয়াটলের আন্দোলনকারীরা।
সিয়াটলের সহিংস পরিস্থিতি দ্রুত দেশটির আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বর্ণবৈষম্য ও পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রায় দুই মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে।
পোর্টল্যান্ডে দমন-পীড়নের ঘটনায় নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সিয়াটল। এমনকি কয়েকটি শহরের মেয়রও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু সব সমালোচনা অমান্য করে ট্রাম্পের ফেডারেল এজেন্টদের নামানোর ঘটনায় পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল ও সহিংসতার দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
পুলিশের দাবি, গত শনিবার বিকেলে সিয়াটলে লাখো মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিল। তাদের কয়েকজন কিং কাউন্টি জুভেনাইল ডিটেনশন ফ্যাসিলিটি নির্মাণের এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ অস্ত্রের ব্যবহার করেছে। তাদের দাবি, এসব অস্ত্র প্রাণঘাতী ছিল না।
এদিকে টেক্সাসের অস্টিনে বর্ণবাদবিরোধী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভ চলার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছে। শনিবার (২৫ জুলাই) যখন প্রায় ১০০ মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিলেন, তখনই কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার টেক্সাসের অস্টিনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। ‘হাত মুষ্টিবদ্ধ কর! চালাও লড়াই!’ এ স্লোগানে পুরো এলাকা মুখর করে তোলেন তারা। বিক্ষোভের সে দৃশ্য ফেইসবুকে লাইভ করা হচ্ছিল।