রেকর্ড সংখ্যক মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে। রবিবার নিউ ইয়র্কের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্যামব্রিজ অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশটিতে ৫৮০০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। অথচ পুরো ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ৭২ জন।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ সালে ২,০৭২ জন মার্কিন নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। মার্কিন সরকারের প্রতি তিনমাস পরপর প্রকাশিত ডাটা থেকে নাগরিকত্ব ছাড়ার এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ব্যামব্রিজ অ্যাকাউন্ট্যান্টসের অংশীদার অ্যালিস্টার ব্যামব্রিজ সিএনএনকে বলেন, ‘এরা মূলত তারাই যারা এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছে এবং তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের সম্ভাব্য সবকিছুই তারা করেছেন।’ তিনি বলেন, মূলত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা করছেন, যেভাবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়া হচ্ছে এবং এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক নীতির কারণেই মানুষ দেশ ছাড়ছে।
ব্যামব্রিজ বলছে, নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করার ঘোষণা দেয়া অনেকে বর্তমান রাজনৈতিক আবহকে দায়ী করলেও অনেকে আবার বড় কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন করের বিষয়টিকে।
যেসব আমেরিকান নাগরিক ছাড়তে চান তাদের অবশ্যই ২,৩৫০ মার্কিন ডলার দিতে হচ্ছে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে না থাকেন তাহলে অবস্থানরত নিজ নিজ দেশে মার্কিন দূতাবাসে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। মার্কিন নাগরিকত্ব ছাড়ায় কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও এই ধারা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যামব্রিজ। তিনি বলেন, অনেক মানুষ আগামী নভেম্বরের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে নাগরিকত্ব ছাড়ার নতুন একটা ঢেউ আসতে পারে।