হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মারা গেছেন (ইন্নালি…রাজিউন)। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
আল্লামা শফীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ জানান, আহমদ শফীর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে আহমদ শফীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শুক্রবার রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এ ইসলামী নেতাকে। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আল্লামা শফীর নিয়মিত শিক্ষাজীবন শেষ হয় ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে। এখান থেকেই তিনি মাওলানা সনদ লাভ করেন। দেওবন্দে অধ্যয়নরত অবস্থায় আহমদ শফী শায়খুল ইসলাম হজরত হোসাইন আহমদ মাদানির হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। তিনি উপমহাদেশে খ্যাতিমান ইসলামি আইন বিশারদ মুফতি ফয়জুল্লাহ, শায়খুল হাদিস আল্লামা সুফি আবদুল কাইউম, শায়খুল আদিব আল্লামা মুহাম্মদ আলী নিজামপুরী ও শায়খ আল্লামা আবুল হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেন।
আহমদ শফী কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন আহমদ শফী। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি ওই পদে ছিলেন। ছাত্রদের বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় আহমদ শফী মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।