পৃথিবীতে যতটুকু অক্সিজেন আছে তার ২০ শতাংশ আসে আমাজন বন থেকে। প্রতিবছর ২০০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এই বন। যে কারণে এটাকে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ বলা হয়।
তিন সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে পৃথিবীর বৃহৎ রেইন ফরেস্ট আমাজন। ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ হিসেবে পরিচিত এই বনে রেকর্ড মাত্রার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে পুরো বিশ্ব।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, দাবানলের ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ২৭০০ কিলোমিটার দূরের ব্রাজিলের সাও পাওলোর আকাশও ছেয়ে গেছে। দিনের বেলাতেও শহরটিতে নেমে এসেছে অন্ধকার। পার্শ্ববর্তী দেশ পেরুর আকাশেও হানা দিয়েছে দাবানলের ধোঁয়া।
আমাজনের এই দুরবস্থার জন্য ব্রাজিল সরকারকে দায়ী করছেন পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা। তাদের মতে, ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো কাঠুরে ও কৃষকদের ভূমি সাফ করাকে উৎসাহিত করেছেন।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি মিনিটে একটি ফুটবলের সমান উজাড় হচ্ছে আমাজন। বন উজাড় হওয়ার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডকে। এতে ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য ও পশুপাখি।
দাবানলের কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও কার্বন ছাঁকনি হিসেবে পরিচিত চিরহরিৎ ওই জায়গা যে এই ঘটনার পর তার কার্যক্ষমতা হারাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত প্রায় সমস্ত গবেষক।