চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ডিজিস বা কভিড-১৯ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটির মূলভূখন্ডে একদিনে মারা গেছেন ১২১ জন। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯১ জনে। চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে তিনজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সূত্র: আল জাজিরা।
আজ শুক্রবার হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রদেশটিতে মারা গেছেন ১১৬ জন। এখানে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৮২৩ জন। এ প্রদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজার ৯৮৬ জনে। যদিও উহান শহরে এখন পর্যন্ত কতজন এতে আক্রান্ত হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই বলে স্বীকার করেছে চীন। গোটা চীনে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৬৫ হাজার। এমন একটি সময়ে হঠাৎ করে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ল, যখন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভাইরাসটি মোকাবেলায় ইতিবাচক ফলাফলের দাবি করেছেন। মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে নতুন করে দেশটিতে নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ আরো বেড়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যু হয়েছে গতকাল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশ ও এর রাজধানী উহানে গতকাল ২৪২ জন মারা গেছেন। ভাইরাসটি মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ায় ভাইরাসটির উত্পত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি।
এদিকে কম্বোডিয়ায় ভিড়েছে দুই হাজারেরও বেশি যাত্রী নিয়ে একটি প্রমোদতরী। ধারণা করা হচ্ছে, এমএস ওয়েস্টার্ডাম নামে ওই জাহাজটিতে কিছু যাত্রী কভিড-১৯ এ আক্রান্ত। এই আশঙ্কায় জাপান, তাইওয়ান, গুয়াম, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ড প্রমোদতরীটিকে নোঙ্গর ফেলতে দেয়নি। সাগরে ভাসতে থাকা প্রমোদতরীটিকে পরে জায়গা দেয় কম্বোডিয়া। দেশটির এই মানবতাবোধের প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডহানম।
সূত্র: আল জাজিরা।