জাপান প্রবাসী গুরুজন সমীপে “জাপানে বাংলা সংস্কৃতির বেহাল অবস্থা”
প্রবাসে অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে এবং সাংগঠনিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রবাসী সমাজে বাংলা শিল্প ও সংস্কৃতি তথা সাংস্কৃতিক উন্মেষ সাধনে। ধ্যনবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই তাদেরকে অন্তত কিছুতো কারার চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু সময়োপযোগী কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়।
জাপান প্রবাসে যারা লেখালেখি করেন তাদের লেখার মান উন্নয়নে কখনও কি সিনিয়র লেখক বা সাংবাদিকরা প্রাতিষ্ঠানিক বা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেছেন? করে থাকলে কি উপায়ে করেছেন জানতে পারলে সে পথটি অনুসরণ করা যেত। গত দশ বছরেতো আমার চোখে এমন কিছু পড়েনি হয়তবা আমার দৃষ্টির সীমানা ক্ষীণ। অনেকের লেখা বা বই পড়ে হতাশ হই। আর সাংবাদিকদের রিপোরটিং এর মানতো ভয়াবহ। সাহিত্য সভা বা আড্ডা গুলোতে কখনও তেমন কোন গঠনমূলক ও শিক্ষণীয় আলোচনা করতে দেখিনি। যেন হাজিরা দেওয়ার মত একটা ব্যাপার। প্রবাসী সমাজ এখন অনেক বড় হচ্ছে। এখানে মানসম্মত সাহিত্য, সাংবাদিকতা, গান ইত্যাদি তথা সংস্কৃতি চর্চার যথাযথ ঘাটতি দেখতে পাচ্ছি। অথচ সংগঠনের কমতি নেই। ঘরে ঘরে সংগঠন। হাতের আঙ্গুলের কর ধরে গণনা শুরু করছিলাম, প্রায় ২০টির বেশী রাজনৈতিক সংগঠন আছে। পিঠা নিয়ে সংগঠন, অঞ্চল নিয়ে সংগঠন হরেক রকমের সংগঠন, আঙ্গুলের কর শেষ হওয়াতে গননা করা বাদ দিলাম। তবে গেল বছর সাংবাদিক লেখক ফোরাম জাপানের টোকিও গ্রন্থ মেলা কিছুটা আশা জাগিয়েছে। সাংবাদিক ও লেখকরা ক’জন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাংবাদিক ও লেখক তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন ভেবে দেখেছেন কি? এটা কি তাদের সামাজিক দায় নয় ? এ দায় এড়িয়ে যাওয়া যাবে কি ? ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ প্রশ্ন করবে নিশ্চয় একদিন।
ইতিহাস ঘাটলে মানচিত্র, পরবাস এবং আড্ডা টোকিওর কিছু কাজ দেখতে পাই, তবে তাদের দু’চার জন বাদে অন্যদের সাহিত্যমান নিয়ে হতাশ হই। তাদের উত্তরাধিকাররা পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে হওয়া কি অস্বাভাবিক হবে? শুধু তাই নয় বর্তমান প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে কার্যকরী কোন ভূমিকা রাখতে পারছেন কি ভেবে দেখা উচিত। উপরন্তু ভুল সংস্কৃতি চর্চাকে বাহবা দিচ্ছেন অনেকেই, যেমন ধরুন লোকজ সংস্কৃতির অনুষ্ঠান গুলোতে কারাওকে যন্ত্র ব্যবহার করে গান পরিবেশন করছেন প্রকাশ্যে, তাতে শিল্পির গলার সুরের স্কেল যাচ্ছে একদিকে আরে বাজনা যাচ্ছে আরকে দিকে অথবা শিল্পীকে ভুল স্কেলে গান করতে বাধ্য করছেন আয়োজকরা বা শিল্পী নিজের প্রচারের আশায় এমটি করছেন। প্রচারমুখী শিল্পীর সংখ্যা বেশী দেখা যায় এখন মানে শিল্প সাধনা কম পারফরমেন্স বেশী। শিল্প সাধনা থাকলে অন্তত প্রায়ত নামকরা শিল্পীদের স্মরণের অনুষ্ঠানে তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য হলেও পেতাম। এমন অনেক শিল্পীকে দেখা যায় লালন আর লালন ব্যান্ডের গান মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। শিল্পী গাছে ধরে না, তাকে তৈরি হতে হয় বা তৈরি করতে হয়। কিন্তু করবে কে?
ইতিহাস ঘাটলে মানচিত্র, পরবাস এবং আড্ডা টোকিওর কিছু কাজ দেখতে পাই, তবে তাদের দু’চার জন বাদে অন্যদের সাহিত্যমান নিয়ে হতাশ হই। তাদের উত্তরাধিকাররা পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে হওয়া কি অস্বাভাবিক হবে? শুধু তাই নয় বর্তমান প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে কার্যকরী কোন ভূমিকা রাখতে পারছেন কি ভেবে দেখা উচিত। উপরন্তু ভুল সংস্কৃতি চর্চাকে বাহবা দিচ্ছেন অনেকেই, যেমন ধরুন লোকজ সংস্কৃতির অনুষ্ঠান গুলোতে কারাওকে যন্ত্র ব্যবহার করে গান পরিবেশন করছেন প্রকাশ্যে, তাতে শিল্পির গলার সুরের স্কেল যাচ্ছে একদিকে আরে বাজনা যাচ্ছে আরকে দিকে অথবা শিল্পীকে ভুল স্কেলে গান করতে বাধ্য করছেন আয়োজকরা বা শিল্পী নিজের প্রচারের আশায় এমটি করছেন। প্রচারমুখী শিল্পীর সংখ্যা বেশী দেখা যায় এখন মানে শিল্প সাধনা কম পারফরমেন্স বেশী। শিল্প সাধনা থাকলে অন্তত প্রায়ত নামকরা শিল্পীদের স্মরণের অনুষ্ঠানে তাদেরকে কিছু সময়ের জন্য হলেও পেতাম। এমন অনেক শিল্পীকে দেখা যায় লালন আর লালন ব্যান্ডের গান মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। শিল্পী গাছে ধরে না, তাকে তৈরি হতে হয় বা তৈরি করতে হয়। কিন্তু করবে কে?
প্রবাসী কল্যাণ সমিতি শিশুদের বিকাশে কাজ করতো সেটিও থমকে গেছে অনেক বছর হল। প্রবাস প্রজন্ম শিশু কিশোরদের নিয়ে একটা অনুষ্ঠান করে তবে তা প্রশিক্ষন বিহীন হলে কতটুকু কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায় আমার, তবে গেল দুই অনুষ্ঠানে তারা রিহারসেল এবং প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছেন যা প্রশংসনীয়, সাদি মোহাম্মদকে দিয়ে কর্মশালা করেছেন সেটিও ভালো লক্ষন।
বাংলা শিক্ষার জন্য কোন বিদ্যালয় তো দূরের কথা ভালো কোন কোচিং সেন্টার পর্যন্ত নেই। স্বরলিপি কালচারাল একাডেমী, টোকিও চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেক দিন থেকে শিশু কিশোরদের বাংলা শেখাতে। তাদের সাধুবাদ জানাই তবে সেটিও সম্পূর্ণ রুপ পায়নি এখনও, অনেক কাজ বাকি আছে তাদের। বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে মুনশি কে আজাদ এবং তাঁর সহধর্মিণী রেনু আজাদ এর অবদান অনস্বীকার্য। তারা এখন প্রবীণ কতদিন এই সেবা দিতে পারবেন আর? তাদের কাজ গুলোর ধারাবাহিকতা তৈরিতে সাহায্য করা উচিত। উত্তরণ শিল্পী গোষ্ঠী, জাপানও চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রথম থেকে। তাদেরও অনেক সাফল্য আছে কিন্তু প্রকৃত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারাও কোন ধরনের শিল্প ভবন বা কেন্দ্র তৈরি করতে পারেনি এখনও যেখানে অবাধ শিল্প চর্চার সুযোগ থাকবে প্রবাসীদের। আমি মনে করি এখনও এই দুই সংগঠনের অনেক কিছু দেবার আছে, করবার আছে। তাদের সাহায্য করলে তারা সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রস্থল হতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বাংলা শিক্ষার জন্য কোন বিদ্যালয় তো দূরের কথা ভালো কোন কোচিং সেন্টার পর্যন্ত নেই। স্বরলিপি কালচারাল একাডেমী, টোকিও চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেক দিন থেকে শিশু কিশোরদের বাংলা শেখাতে। তাদের সাধুবাদ জানাই তবে সেটিও সম্পূর্ণ রুপ পায়নি এখনও, অনেক কাজ বাকি আছে তাদের। বাংলা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে মুনশি কে আজাদ এবং তাঁর সহধর্মিণী রেনু আজাদ এর অবদান অনস্বীকার্য। তারা এখন প্রবীণ কতদিন এই সেবা দিতে পারবেন আর? তাদের কাজ গুলোর ধারাবাহিকতা তৈরিতে সাহায্য করা উচিত। উত্তরণ শিল্পী গোষ্ঠী, জাপানও চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রথম থেকে। তাদেরও অনেক সাফল্য আছে কিন্তু প্রকৃত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারাও কোন ধরনের শিল্প ভবন বা কেন্দ্র তৈরি করতে পারেনি এখনও যেখানে অবাধ শিল্প চর্চার সুযোগ থাকবে প্রবাসীদের। আমি মনে করি এখনও এই দুই সংগঠনের অনেক কিছু দেবার আছে, করবার আছে। তাদের সাহায্য করলে তারা সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রস্থল হতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আর সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে দূতবাসের ভূমিকা শূন্য, আমি বলবো ঋনাত্মক (মাইনাস) কারন যে সময় চলে গেছে তা কি তারা ফেরত দিতে পারবেন ?
হ্যা, তবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বা বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাপানের সংগঠনগুলো, ব্যাক্তিরা এবং ব্যবসায়িরা বিশেষ উপকারে আসেন যা প্রশংসার দাবীদার।
টোকিও বৈশাখী মেলা একটা বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন শিল্পীদের জন্য। সারাবছর সাধনা করে, চর্চা করে হাজার হাজার মানুষের সামনে পারফর্ম করার একটা বিশাল ক্ষেত্র। তবে সেখানেও দেখা যায় কিছু কিছু শিল্পীদের বেহাল অবস্থা যা কোন অবস্থাতেই গ্রহণীয় হতে পারে কি ?
টোকিও বৈশাখী মেলা একটা বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন শিল্পীদের জন্য। সারাবছর সাধনা করে, চর্চা করে হাজার হাজার মানুষের সামনে পারফর্ম করার একটা বিশাল ক্ষেত্র। তবে সেখানেও দেখা যায় কিছু কিছু শিল্পীদের বেহাল অবস্থা যা কোন অবস্থাতেই গ্রহণীয় হতে পারে কি ?
আমি মনে করি যারা ব্যক্তিগত ভাবে লিখছেন বা সংবাদ করছেন বা গ্রন্থ ও পত্রিকা প্রকাশ করছেন, গান, কবিতা ইত্যাদি করছেন তাদের মধ্যে সমন্বয় করা উচিত। একধরনের সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংস্কার দরকার বা বিপ্লব বললেও কম বলা হবে না। একটা যৌথ পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। যৌথ পরিকল্পনা বলতে কি বুঝাচ্ছি তা না হয় পরবর্তীতে আলোচনা করা যাবে। আজ এখানেই শেষ করছি, শুধু বলব আমার এই পোস্টটিকে কারও ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার কোন অবকাশ নেই কারন আমার মত অনেক তরুণ ও সামজিক সংগঠকদের সাথে কথা বলে এমনি হতাশা তাদের ভিতর পেয়েছি।
গোলাম মাসুম জিকো
সম্পাদক
নিহন বাংলা ডট কম (একটি সাধারণ মাধ্যম)