প্রধানমন্ত্রী আবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জাপানের সকল স্কুল বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন। আগামী সোমবার থেকে এ বন্ধ কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। জাপানে সাধারণত এপ্রিল মাস থেকে বসন্তকালীন ছুটি দেয়া হয়। তবে এইবার ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের জন্য স্কুল বন্ধের এ ঘোষনা আসলো। খবর : জাপান টাইমস।
প্রতিটি অঞ্চলে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়েছে, এবং এই এক বা দুই সপ্তাহ অত্যন্ত জটিল সময় হয়ে উঠবে,”
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাব সংকট নিয়ে মূল মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীদের বৈঠকে আবে বলেছেন, প্রতিটি অঞ্চলে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রতিরোধের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে , এবং এই এক বা দুই সপ্তাহ অত্যন্ত জটিল সময় হয়ে উঠবে। সকল শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ জাপানজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজে ৭০০ জনেরও বেশি সংক্রামিত রোগী আক্রান্ত হয়েছে এ ভাইরাসে, আর এর পরেই আবের অবাক করা ঘোষণাটি আসলো ।
চলমান করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবকে কমিয়ে আনার চেষ্টায় হোক্কাইডোর ১,৬০০ প্রাথমিক ও জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশিরভাগই এ সময়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবস্থাপন বিভাগ ।
সংক্রমণের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় হাইকাইডো শিক্ষা বোর্ড স্থানীয় সকল কর্তৃপক্ষকে ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অস্থায়ীভাবে সকল সরকারী ও বেসরকারী প্রাথমিক ও জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ করার আহ্বান জানানোর একদিন পরে এই পদক্ষেপ গৃহীত হলো।
গভর্নর নওমিচি সুজুকি বলেন, “আমরা হোক্কাইডোর মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সংক্রমণের আরও বিস্তার রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
টোকিওর ওচেনোমিজু বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল শুক্রবার থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত বসন্ত বিরতি সহ প্রায় এক মাসের জন্য অনুমোদিত স্কুলগুলি বন্ধ করে দেবে। সম্রাট নুরুহিতোর ১৩ বছর বয়সী ভাতিজা প্রিন্স হিশাহিতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। তিনি বলেন “আমি বিশ্বাস করি যে এ জাতীয় বন্ধ অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত যা আমাদের পরিস্থিতির জন্যই নিতে হয়েছে।