চলতি বছর জাপানে করোনা মহামারীর কারণে জরুরি অবস্থা জারি হলে মানুষজন ঘরবন্দি থাকে। এ সময় অনেকেই ঘরের পুরনো জিনিস বিক্রি করে দিয়েছেন। এর জের ধরে দেশটিতে জমে উঠেছে পুরনো বা সেকেন্ডহ্যান্ড পণ্যের বেচাকেনা। কাপড়, জুয়েলারি, হাতব্যাগের মতো মেয়েদের ব্যবহার্য অভিজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে বেশি।
কাপড়, জুয়েলারি, হাতব্যাগের মতো মেয়েদের ব্যবহার্য অভিজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে বেশি।
ঘরবন্দি থাকার সময় আলমারি পরিষ্কার করতে গিয়ে জমে থাকা পুরনো কিমোনো (নারীদের ঐতিহ্যবাহী জাপানি পোশাক) বিক্রি করে দেয়ার চিন্তা মাথায় আসে তার। এ চিন্তা থেকে তিনি ২২টি কিমোনো বিক্রি করে দেন। আয় করেন ৪ হাজার জাপানি ইয়েন বা ৩৮ ডলার। এর মধ্যে এক দশক আগে কেনা কিমোনো রয়েছে। মিতসুকো ইওয়ামার কাছ থেকে পুরনো পোশাকগুলো কিনে নেয় বাইসেল টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচা করে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছরের অক্টোবরে এর কর্মীরা প্রায় ২৯ হাজার ৯৯০টি বাড়িতে গিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি।