ভারতের কাশ্মীরের জনগণের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।
সোমবার (৫ আগস্ট) লোকসভায় কাশ্মীরীদের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রস্তাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা দলগুলো এর বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে থাকে।
ক্রমশ জটিল হতে থাকা কাশ্মীরের পরিস্থিতির এটি সবশেষ সংযোজন। এর আগে রবিবার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষনেতাকে গৃহবন্দি করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। উপত্যকার বেশির ভাগ এলাকায় আগে থেকেই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
চরম উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগের মধ্যে বিজেপি সরকার কাশ্মীরীদের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বিলোপ করে।
এর আগে কাশ্মীর নিয়ে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বৈঠক হয় নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটিরও। বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা সংসদে বিবৃতি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উপত্যকায় যে কিছু একটা ঘটতে চলেছে, সে ইঙ্গিত অবশ্য মিলছিল কয়েকদিন আগে থেকেই। অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দিয়ে হঠাৎই কাশ্মীরে বাড়ানো হয়েছিল আধাসামরিক বাহিনী। সম্ভাব্য জঙ্গি হানার খবর পেয়েই কি এই ব্যবস্থা, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে সরকারের, জল্পনা তৈরি হচ্ছিল তা নিয়েই। পর্যটকদের ফেরানোও হচ্ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় একটি সূত্রে শোনা যায়, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও, সে কথা অবশ্য স্বীকার করেনি সরকার। তবে ভারতীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শোপিয়ানের মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে থানা পাহারা দিচ্ছে বিএসএফ।