রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, অথবা আলাদা রাষ্ট্র গড়ার সুযোগ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
মাহাথির বলছেন, মালয়েশিয়া সাধারণত কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে না। কিন্তু এটা গণহত্যা বলেই তিনি কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন।
২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৩ সালে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মাহাথির। এরপর ৯২ বছর বয়সে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির মঞ্চে হাজির হন। যে দলের হয়ে এর আগে পাঁচটি নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি, ভোটযুদ্ধে লড়েন তারই বিরুদ্ধে।
তুরস্কের আনদোলু এজেন্সিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার এক সময় অনেক স্টেট নিয়ে গঠিত ছিল। কিন্তু উপজাতিদের কারণে ব্রিটিশরা একটি স্টেটে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয়।’
‘এখন অবশ্যই তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে, অথবা নিজেদের জন্য তাদের আলাদা রাষ্ট্র গড়ার সুযোগ দিতে হবে।’
মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কখনো নিজেদের নাগরিক মনে করে না। এই সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে গত কয়েক বছর ধরে উঠেপড়ে লেগেছে দেশটি। জীবন বাঁচাতে লাখ-লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৭ সালে দেশটি থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে!