দুর্নীতির অভিযোগে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১২ বছরের জেল দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
মালয়েশিয়ার শীর্ষ ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার এ খবর দিয়েছে।
মঙ্গলবার কারাদণ্ডের পাশাপাশি রাজাককে ২১০ মিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর জেলভোগ করতে হবে তাকে।
এদিন সকালে মালয়েশিয়ার এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন ডলার কারচুপির যে সাতটি অভিযোগ উঠেছিল তার সবকটিতে আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক তার পর্যবেক্ষণে বলেন, এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল তহবিল থেকে নাজিব রাজাক ৪২ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নেন। এই ঘটনাকে ক্ষমতার অপব্যবহার মনে করছেন আদালত।
আদালতে এদিন নাজিবের ছেলেমেয়েরা উপস্থিত থাকলেও তার স্ত্রীকে দেখা যায়নি।
গত মে মাসে নির্বাচনে পরাজয়ের পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তিনি আগেই সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। ওই সময় জানান, বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে আপিল করবেন।
নাজিব ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
‘এই শুনানির সব সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনা করে আমি দেখেছি প্রসিকিউশন সফলভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে,’ মন্তব্য করে বিচারক মহম্মদ নাজলান মোহামাদ গজালী বলেন, ‘তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব কাজ করেছেন।’
নাজিবের দাবি, তিনি কোনো খারাপ কাজ করেননি। অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হয়েছেন।
নাজিবের এই মামলাটি মালয়েশিয়ায় ১এমডিবি নামে বেশি পরিচিত। এটি দেশটির একটি রাষ্ট্রীয় ফান্ড। নাজিব ২০০৯ সালে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন। কথা ছিলো এর মাধ্যমে তিনি কুয়ালালামপুরকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করবেন এবং কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলবেন।