মিয়ানমার থেকে আর কোনো শরণার্থীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, প্রায় ১৮ মাস আগে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্মম নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। ২০১৭ সালে আগস্টের শেষের দিকে রাখাইন অঙ্গরাজ্যে বিদ্রোহীদের হামলা চালানোর পরদিন থেকে শুরু হয় নৃশংস সামরিক অভিযান। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ অনেক দেশ ও সংগঠন ওই অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে বর্ণনা করেছে।
বৃহস্পতিবার সচিব শহিদুল হক রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে পরিষদকে জানাচ্ছি যে, মিয়ানমার থেকে আসা আর কোনো শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশ।
তিনি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যাবাসন আলোচনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাধা তৈরির অভিযোগ আনেন। সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও যথাযথ পরিবেশ না থাকায় রাখাইনে যেতে ইচ্ছুক হয়নি।
এদিকে, মিয়ানমারের ভাষ্য ছিল, জানুয়ারি থেকেই তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করবে। কিন্তু রোহিঙ্গারা বলছে, ফিরে যাওয়ার আগে তারা তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি চায়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখনও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।