জিম্বাবুয়েতে পানির অভাবে গত দুই মাসে ২০০’র বেশি হাতির মৃত্যু হয়েছে। পানির খোঁজে মরিয়া হয়ে কুয়োয় লাফিয়ে পড়ে হাতি আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটির সক্রিয় প্রধান সংরক্ষণ অঞ্চল মানা পুলস ও হুয়াঞ্জে ন্যাশনাল পার্কে পানি সংকট সেখানকার প্রাণীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমতাবস্থায়, ওই অঞ্চল থেকে হাতি ও সিংহসহ হাজার হাজার প্রাণী সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থাগুলো। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
হুয়াঞ্জে ন্যাশনাল পার্কের নিকটস্থ জুতশুমে গ্রামের বাসিন্দারা গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, পানি না পেয়ে মরিয়া হয়ে কূপে লাফিয়ে পড়ে এক শিশু হাতি। পরে গ্রামবাসীরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করলেও তার পা ভেঙে যায়। আরো এক হাতি গ্রামের নিকটে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পড়ে যায়।
গ্রামবাসীরা দুর্বল হাতিটিকে হাঁটতে সক্ষম হওয়া পর্যন্ত দেখাশোনা করে। এদিকে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে আরো হাতি মারা যাবে জিম্বাবুয়েতে। জাতিসংঘ অনুসারে, সাম্প্রতিক খরায় বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি খাদ্য ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা। দেশটিতে হাতির সংখ্যা ৮৫ হাজার। কিন্তু সেখানকার অভয়ারণ্যগুলোয় ধারণক্ষমতা মাত্র ৫৫ হাজার। দেশটিতে দ্রুত গতিতে কমছে বিচরণভূমি ও পানি।
বন্য প্রাণীপ্রেমীরা জিম্বাবুয়ের হাতি বাঁচাতে বিশাল পরিমাণের খড় দান করেছেন। কিন্তু খাদ্য ও পানির অভাব অনেক প্রাণীকে মরিয়া করে তুলেছে। তারা নিকটস্থ জনসম্প্রদায়ে ঢুকে পড়ছে। এতে মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উভয়পক্ষ। বিগত পাঁচ বছরে মানুষ ও প্রাণীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন।