কিছু খাবারে প্রাকৃতিকভাবেই ভিটামিন ‘ডি’ থাকে, যেমন স্যামন, ডিমের কুসুম, দুধ, টকদই ইত্যাদি। তাই যারা নিরামিষভোজী ও যাদের ল্যাকটোজ অহিষ্ণুতা রয়েছে, তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র অভাব থাকা খুবই স্বাভাবিক। যদি নিতান্তই মাছ-মাংস খেতে না চান, তবে ওটমিল, মাশরুম, সয়া দুধ ও তফু খাওয়া যেতে পারে শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক যে খাদ্য উপাদান, তার মধ্যে ভিটামিন ‘ডি’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এটি এমন একটি উপাদান, যা আমাদের শরীরে সূর্যালোক বা খাদ্য উভয় থেকেই প্রবেশ করে। কিন্তু দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষই ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতিতে ভোগেন। ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে অ্যালঝেইমার্স, ডায়াবেটিস, অস্টিওপরোসিস ও হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই খাদ্যতালিকা থেকে অত্যাবশ্যক এ উপাদানটি বাদ দেয়া যাবে না কোনোভাবেই।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের বয়স পঞ্চাশের বেশি, তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি বেশি। এর একটা কারণ হলো, এ সময় থেকে মানুষ ধীরে ধীরে বাইরে বের হওয়া কমিয়ে দেয় ও বাড়িতেই সময় যাপন করে। তাই খাবার বা সম্পূরক থেকে ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করতে হবে। আবার এ বয়সী ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করেন। কিন্তু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।
কয়েক ধরনের ওষুধ শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-এর কার্যকারিতা দুর্বল করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘ডি’ ধরে রাখতে এ-জাতীয় খাবার খেতেই হবে।
আবার যারা বেশির ভাগ সময় অফিসে কাটান, তাদের শরীরে রোদ কম লাগে। তাই ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি দেখা দেয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আপনি যদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা অফিসের ভেতরে বসে কাজ করেন, তবে ভিটামিন ‘ডি’-যুক্ত খাবার ও সম্পূরকের মাধ্যমে শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
সূত্র: হেলথলাইন ও প্রিভেনশন