প্রায় এক বছর ব্যাপী আইনী লড়াইয়ের পর এটা স্থির হলো যে নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিনের সংগ্রহ করা চাঁদের বালুর মালিকানা কার্লসনের, নাসার নয়। নাসা একটি সরকারী নিলামে তুলেছিল বালির ব্যাগটিকে। কার্লসন ৯৯৫ মার্কিন ডলারে কিনে নিয়েছিল।
কার্লসনের আইনজীবি জানান, ‘সব সংগ্রহকারী এমনটাই চান। ব্যাগটি প্রথমদিকে কানসাসের একটি স্পেইস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়েছিল। কিন্তু এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আসে এবং নাসার কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।’ কিন্তু নাসা এটাকে চিনতে ভুল করে এবং মনে করে সেখানে মুন ডাস্ট বা চাঁদের বালু নেই। এটাকে নিলামে তোলা হয় এবং কার্লসন এটা কিনে নেন ২০১৫ এর ফেব্রুয়ারিতে। সংগ্রহ করার পর কার্লসন সেটা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান জনসন স্পেইস সেন্টারে। তখন নাসা টের পায় আসলে কি ভুলটা করেছে। ফেরত দিতে অস্বীকার করে নাসা। শুরু হয় দীর্ঘ আইনী লড়াই। শুক্রবার আদালত নাসার কাজকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং গত সোমবার কার্লসন বুঝে পান তার ব্যাগ।
বর্তমানে এটি একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছে। চাঁদের বালুর ব্যাগটি নিয়ে কার্লসন কি করবেন সেটা ভবিষ্যতে জানাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: ফক্স নিউজ