Breaking News

সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ব্রান্ড হলো আতঙ্ক- জাতিসংঘ মহাসচিব

বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিস্তৃত আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ। তিনি বলেছেন, এখন বিশ্বজুড়ে ‘বেস্ট-সেলিং ব্রান্ড’ বা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বিষয় হলো আতঙ্ক। আস্থার ঘাটতি সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ভেঙে যাওয়া বিশ্বে ভেঙে যাওয়া আস্থাকে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি জাতিসংঘকে একটি প্লাটফর্ম হিসেবে দেখতে চান বলে আবারও মত দেন। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।

অ্যান্তনিও গুতেরাঁ এতে আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের বিষয়ে বলেন, এ বিষয় রেটিং পাচ্ছে। ভোটে বিজয়ী হচ্ছে এসব বিষয়। তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি সরকারগুলো ও প্রতিষ্ঠানগুলো এখন সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তাতে দেখাতে হবে, আমরা এসব সমস্যার বিষয়ে মাথা ঘামাই। জনসাধারণের আতঙ্ক ও উদ্বেগের বিষয়ে উত্তর, কংক্রিটের মতো উত্তর নিয়ে তাদের সামনে সাড়া দিতে হবে। সমাধান দিতে হবে।

২০১৯ সালের জন্য জাতিসংঘের অধীনে নিজের কর্মকান্ডের বিষয়ে ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরার দু’দিন পরে মহাসচিব ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সব সদস্য দেশ তার বহুত্ববাদের বিষয় হাইলাইট করার বিষয়ে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। অ্যান্তনিও গুতেরাঁ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে অভিবাসন, অভিবাসন থেকে সন্ত্রাস, সন্ত্রাস থেকে বৈশ্বিকীকরণের অবনমিত দিক পর্যন্ত অনেক চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করছি। বৈশ্বিক এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক পর্যায়ের সমাধান। এ বিষয়ে আমার মনে কোনোই সন্দেহ নেই। এ কাজটি কোনো একটি দেশ একা করতে পারে না। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক হারে আমাদের প্রয়োজন বহুত্ববাদ।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বহুত্ববাদকে প্রত্যাখ্যান করার মধ্য দিয়ে আমরা কোথাও যেতে পারব না। তিনি এদিন বিশ্বজুড়ে কেন বহু মানুষ ক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে আশস্ত নন সে বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি এ সময় বৈশ্বিকীকরণ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, বহু মানুষ, সেক্টর, পুরো অঞ্চল পশ্চাতে পড়ে আছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই ব্যাপক বিস্তৃত অবিশ্বাস, হতাশা, ক্ষোভ ও আতঙ্কের মূল কারণ উদঘাটনের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে রয়েছে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খাত। তা হলো, টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, সংস্কারের মাধ্যমে জাতিসংঘের মূল্যায়ন শক্তিশালী করা এবং ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য, বিদেশীবিদ্বেষ ও অসহিষ্ণুতার ইতি ঘটাতে নাগরিক সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো।

অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে বিরক্তিকর, ঘৃণামূলক কথাবার্তা শুনে আসছি। বিষাক্ত সব দৃষ্টিভঙ্গি রাজনৈতিক বিতর্কে ঢুকে গেছে। এতে মূলধারার রাজনীতি দূষিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি ১৯৩০এর দশক ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য ও ঘৃণাপ্রসূত অপরাধ সরাসরি মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, কথাই যথেষ্ট নয়। তিনি ঘোষণা করেন, তার গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা এডাম ডিয়েঙ্গকে একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। তা হলো, জাতিসংঘের বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন একটি কৌশল প্রণয়ন করতে সবাইকে এক করতে একটি টিম গঠন করতে এবং ঘৃণাপ্রসূত বক্তব্য ও ঘৃণাপ্রসূত অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য।

 

About admin

Check Also

১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন জাপানি নভোচারী ফুরুকাওয়া

জাপানের নভোচারী ফুরুকাওয়া সাতোশির দ্রুত হলে ১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দ্বিতীয় ভ্রমণ নির্ধারণ করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *