ফিলিপাইনে একটি মসজিদে গ্রেনেড হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বুধবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
আলজাজিরা জানায়, জামবোয়াঙ্গা শহরে মসজিদের ভেতরে এ গ্রেনেড হামলা হয়। জোলো দ্বীপে একটি ক্যাথলিক গির্জায় ভয়াবহ বোমা হামলার তিন দিন পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হতাহতরা হামলার সময় মসজিদের ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন। এদিকে এ হামলার সঙ্গে কারা জড়িত এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
দেশটির সামরিক বাহিনীর আঞ্চলিক মুখপাত্র লে. কর্নেল গ্যারি বেসানা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, মসজিদের ভেতরে এক গ্রেনেড হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন এবং চারজন আহত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের মুখপাত্র সালভাদর প্যানেলও এক বিবৃতিতে জানান, এসব হামলা মিন্দানাওতে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘উপহাস’। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা আবার বর্বরোচিত ও নোংরা পথ বেছে নিল।
সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার কর্নেল লিওনেল নিকোলাস দাবি করেন, তিন দিন আগে চার্চে বোমা হামলার ‘প্রতিক্রিয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটেনি’।
এদিকে জামবোয়াঙ্গা উপদ্বীপের ওলামা কাউন্সিল এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। বর্বরোচিত এ হামলাকে ‘নারকীয়, অন্যায় ও অমানবিক’ বলে মন্তব্য করে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানায় মুসলিম প্রতিনিধিদের সংগঠনটি।
রোববার জোলো শহরে এক গির্জায় বোমা হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। একইদিন দেশটির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল মিন্দানাওতে বোমার হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে মসজিদে এ হামলা সংঘটিত হলো।
গির্জায় হামলার জন্য ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করে। তবে প্রেসিডেন্ট দুতের্তে এ হামলার জন্য স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আবু সায়াফকে দায়ী করেছেন।
প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৫০ লাখ মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রদেশ মিন্দানাও গত ২১ জানুয়ারি এক শান্তিপূর্ণ গণভোটের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসিত ঘোষিত হয়। কয়েক দশক ধরে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন দাবিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লড়াইয়ে কমপক্ষে এক লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।