মেধাভিত্তিক অভিবাসন নীতিমালা চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই নীতিমালা অনুসারে, অপেক্ষাকৃত তরুণ, বেশি শিক্ষিত ও ইংরেজিভাষী কর্মীদের অভিবাসনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হোয়াইট হাউজে দেওয়া এক বক্তব্যে একথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প জানান, নতুন নীতিমালা এমনভাবে সাজানো হবে যার আওতায়, যুক্তরাষ্ট্রে পরিবার রয়েছে এমন ব্যক্তিরাও অভিবাসনে অগ্রাধিকার পাবেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হবে ও আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
ট্রাম্পের নতুন এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। তারা বলেছেন, এটা হচ্ছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায় ‘পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু’ (ডেড-অন-অ্যারাইভাল) ধরণের প্রস্তাব।
এছাড়া, এই নীতিমালা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া অভিভাবকহীন হাজার হাজার শিশুর (‘ড্রিমার’ নামে পরিচিত) তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ও ঝুঁকিতে পড়বে।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে, আধুনিক বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয় হয়ে ওঠবে মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থা। আমরা অভিবাসীদের জন্য আমাদের দেশের দরজা খোলা রাখতে চাই। কিন্তু সেসব অভিবাসীদের একটি বড় অংশ এখন মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আসবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন আমরা আনবো, সেটি হচ্ছে, উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন অভিবাসীদের হার ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৭ শতাংশে উন্নীত করবো। এরপর ও হার আরও বাড়ানো যায় কিনা সেটি দেখবো।
তিনি জানান, অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে হলে ইংরেজি শিখতে হবে ও একটি পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
বিদ্যমান আশ্রয় প্রার্থনা ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের নিপীড়িত জনগণকে সুরক্ষা প্রদানের ব্যাপারে আমাদের দেশের গর্ব করার মতো ইতিহাস রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এরকম আশ্রয়প্রার্থীদের জায়গাগুলো এখন সুবিধাবাদী আশ্রয়প্রার্থীরা নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।