Breaking News

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী আজ

হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এ নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার জন্মদিনকে স্মরণ করে জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হবে তার জন্মক্ষণ রাত ৮টায়। মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মাধ্যমে শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল শোয়ের মাধ্যমে শেষ হবে এ অনুষ্ঠান।

মূলত টেলিভিশনের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে ‘মুক্তির মহানায়ক’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালে তত্কালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকিটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।
বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদের জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন।

মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে বিভিন্ন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জনসমাগম এড়িয়ে সফলভাবে দিনটি পালনে কেন্দ্রীয় নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন দলের ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় উদ্যোগে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আতশবাজির আয়োজন করা হয়েছে। একই সময়ে একযোগে দেশের সব ইউনিট কার্যালয়ে আতশবাজি অনুষ্ঠানের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাজধানীর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায়ও থাকছেও বিভিন্ন আয়োজন।

দলীয় অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় দেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মিলাদ মাহফিল ও স্বল্প পরিসরে শিশু সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। এর পাশাপাশি গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। বাদ জোহর দেশের সব মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।

About admin

Check Also

কিউশুতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দুর্যোগের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে

 জাপানের কিউশুতে বুধবার প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত আবারও আঘাত হানছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ভূমির উপরিভাগ আলগা করে দেয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *